বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়া এবং এডিপির প্রকল্প পাইয়ের দেওয়ার নামে অর্থ আদায় ও জনবল নিয়োগের অনুমোদন এনে দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পৌর সচিব মো. নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক পৌর মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন ও দুই ভুক্তভোগী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার নিরিবিলি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন, ভুক্তভোগী নাজমুল সাকিব জিহাদ ও আবদুর রহিম।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পৌর মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন বলেন, আমি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌর সচিব নুরুল আমিন মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ লাখ টাকার এডিপির প্রকল্প এনে দেবেন বলে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ও ৭টি পদে জনবল নিয়োগের অনুমোদন এনে দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নেন।
ভুক্তভোগী নাজমুল সাকিব জিহাদ বলেন, আমার কাছে বকশীগঞ্জ পৌরসভায় বাজার পরিদর্শক পদে নিয়োগ প্রদান করার আশ^াস দিয়ে তিন ধাপে ১৮ লাখ টাকা ঘুষ নেন পৌর সচিব নুরুল আমিন।
আরেক ভুক্তভোগী আবদুর রহিম বলেন, পৌর সচিব নুরুল আমিন আমার দুই স্বজনকে মাস্টার রোলে ঢুকিয়ে দেবেন বলে নগদ ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেন ।
তিন ভুক্তভোগী আরো বলেন, পৌর সচিব নুরুল আমিন তিন জনের কাছে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়া ও প্রকল্প পাইয়ে দিতে এবং জনবল নিয়োগের অনুমোদন আনার নামে মোট ৪১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেন।
আমরা বার বার পৌর সচিবের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পৌর সচিবের শাস্তির দাবি সহ হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা।
ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বকশীগঞ্জ পৌর সচিব মো. নুরুল আমিন জানান, আামি কারো কাছে টাকা নেইনি। তারা পাগল নাকি আমাকে কেন টাকা দেবে।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত জানান, এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।