দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়, প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। ০১ জুলাই (সোমবার) দুপুরে উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে বিদ্যালয় অফিস কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন
অনুষ্টিত হয়।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যালয়ের ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি মো: ছামু মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বক্তব্যে তিনি জানান, ছাবেদা চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয় সুনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ করার অপপ্রয়াসে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। যার অংশ হিসেবে সাংবাদিকবৃন্দকে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। একটি জাতীয় পত্রিকায় মাল্টিমিডিয়ায় ‘দুই সতিনের আয়নাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয় এবং অপর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রধান শিক্ষক ঢাকায় প্রক্সি দেন সতিন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন দুটিতে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু মিয়া কারসাজি করে তার প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেন। লাভলী বেগম ঢাকায় স্হায়ী ভাবে বসবাস করেন। তার পরিবর্তে ছামুর দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা বেগম বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লাভলী বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বেতন ভাতা তুলছেন এবং ভোগ করছেন। প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম বিদ্যালয়ে আসেন না বা মাঝে মাঝে আসেন। তার পরিবর্তে প্রক্সি দেন তার সতিন মুসলিমা বেগম। ঘটনাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, ছামু মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম ঢাকায় স্হায়ী ভাবে বসবাস করেন না। তিনি মাঝে মাঝে ঢাকায় যান। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বন্ধের সময় প্রধান শিক্ষিকা লাভলী বেগম ঢাকায় অবস্হান করতেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন সে তার কর্মস্হল ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োমিত উপস্হিত থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লাভলী বেগমের পরিবর্তে কেউ প্রক্সি দেন না। লাভলী বেগম হাজিরা খাতায় নিজের স্বাক্ষর নিজে দেন এবং নিজে তার বেতনভাতা ভোগ করে আসছেন। তিনি নিয়মিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে মুসলিমা বেগম পাশাপাশি বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মুসলিমা বেগম বলেন ‘আমি এই বিদ্যালয়ে শুরু থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি। আমি কখনো ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কথা বলিনি। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে লাভলী বেগমকে চিনেন। তারা মিডিয়ায় সব অসত্য তথ্য পরিবেশন এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সামু মিয়া, তার প্রথম স্ত্রী এবং সাবেদা চান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম। বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক মুসলেমা বেগম সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীরা উপস্থিত ছিলেন।