আসমাউল আসিফ, জামালপুর
জামালপুরে এক ধর্মসভায় প্রকাশ্যে মাজার ভাঙার ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জামালপুর মাজার ও খানকাহ শরীফ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনাক্যাম্পসহ বিভিন্ন দপ্তরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জামালপুর মাজার ও খানকাহ শরীফ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো: মজিবর রহমান এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে শামীম আলম, আতিউর রহমান চিশতী, বাবুল ইসলাম কলম চিশতী, নাহিদ হোসেন, সৈয়দুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, রুস্তুম দেওয়ানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী মোড়ে তৌহিদি জনতা সিরাতুন্নবী (স:) নামের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে জামালপুর পৌরশহরের ডাকপাড়া জামিয়া ইনআমিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেম অলি আউলিয়াদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উষ্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তার সহযোগীদেরকে জামালপুর জেলার সকল দরবার, মাজার ও খানকাহ শরীফ ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেন। জামালপুর জেলায় প্রায় ১১৩টি মাজার ও খানকাহ শরীফ রয়েছে। এসব মাজার ও খানকায় প্রায় ১৫ লক্ষ ভক্ত ও আশেকান-জাকেরান রয়েছেন। ডাকপাড়া জামিয়া ইনআমিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেমের উষ্কানিমূলক এই বক্তব্য আশেকান-জাকেরানের কলিজায় লেগেছে। যে কোন সময় তার উষ্কানিমূলক বক্তব্যের কারনে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হতে পারে। হযরত শাহ জামাল (রহ:) এর নাম অনুসারে জামালপুর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। তাই মাজার প্রেমিক, অলি প্রেমিক ভক্তবৃন্দরা আবুল কাশেমের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে। তার এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করে তুলেছে।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে জামালপুর মাজার ও খানকাহ শরীফ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো: মজিবর রহমান জানান, মাজার ভাঙার ঘোষাণা দেয়ার ভিডিও বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আমরা এই উষ্কানিমূলক ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যদি কোন মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে তবে জেলার বিভিন্ন মাজারের প্রায় ১৩ লক্ষ ভক্ত বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠবে। মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জেলার সকল মাজার ও খানকাহ শরীফের নিরাপত্তা দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বক্তব্যকে অপপ্রচার বলে উল্লেখ্য করে জানান, আমি মাজারে গাঁজা সেবন ও নেশা করার বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার থাকার জন্য বলেছি। আমি মাজার ভাঙার জন্য কোন ঘোষণা দেইনি।