নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়েনের ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মীয়মান তিন তলা ভবনে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ভবেনর ক্লাস করতে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়েছে। ৭ম শ্রেণির রেখা নামের এক ছাত্রী অসমাপ্ত ভবেনর ঝুলন্ত বিদ্যৎ লাইনের বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার একটি হাত ও পায়ের অংশ কেটে ফেলা হতে পারে। তার পরেও থামে নাই অসমাপ্ত ভবনে ক্লাস নেয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন বরাদ্দ হয়। সে মোতাবেক সরিষাবড়ির ঠিকাদার আলতাব হোসেন কাজটি শুরু করে এবং ৩ তলা ছাদ নির্মাণ করে। কিন্তু সিড়ির রেলিং, বারান্দার রেলিং, বিদ্যুৎ লাইনসহ অনেক কাজ এখনো শেষ করেনি। কাজটি বিলম্ব হলে এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ঐ অসমাপ্ত ভবনে ক্লাস নেয়া শুরু করে শিক্ষকরা। ফলে ছাত্ররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ঐ ভবনে ক্লাস করে। এরই মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী ভবন থেকে পড়ে আহত হয়েছে। গত সোমবার ক্লাস করতে গিয়ে ঐ স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফুলজোড় গ্রামের আঃ রাজ্জাকের মেয়ে রেখা ৩ তলায় ক্লাসে ঠুকতে গিয়ে ঝুলন্ত বিদ্যুৎ লাইনের স্পর্শে নীচে পড়ে যায়। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলার কথা বলছে। সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে ঐ স্কুলের চলতি দায়ীত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকসহ কেও ফোনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জামালপুরের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ আলীমুজ্জামান জানান, ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মীয়মাণ ভবনের কাজ অসমাপ্ত এবং ভবনটি স্কুল কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। বিধায় এখানে ক্লাস করার প্রশ্নই আসে না। শিক্ষকরা কি ভাবে ক্লাস নেয় এটা বুঝে উঠতে পারছিনা। কাজটি করছে জেলার সরিষাবাড়ির ঠিকাদার আলতাব হোসেন।
মাদারগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমি জানিনা। এ বিষয়ে শিক্ষরা আমাকে জানায়নি।