• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
  • English Version
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামপুরে দূর্গম যমুনার চরে পুলিশের অভিযানে বাড়ীর আঙ্গিনায় রাোপণ গাঁজার বাগান জব্দ।। বকশীগঞ্জে নিলাখিয়া বিএনপি নেতাকে স্বপদে বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন গল্পঃ প্রেম ও সংশয় – মনসুর আলি বকশীগঞ্জে ডিবি-২ এর অভিযানে ২৪ বোতল ভারতীয় মদ সহ আটক-১ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও সমাবেশ।। জামালপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, রাত দখল কর্মসুচি ঘোষণা ইসলামপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন ইসলামপুরে দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় অস্ত্রের চেয়ে কলমের শক্তি বেশী- জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জামালপুরে মাজার ভাঙার ঘোষণার প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান

শৈশবের ঈদ আনন্দ – এম সবুজ মাহমুদ

এম সবুজ মাহমুদ / ১২৩২ Time View
Update : সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

– এম সবুজ মাহমুদ

শৈশবে ঈদ আনন্দের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ছিল পছন্দের সাহিত্য সাময়িকী গুলোর ঈদসংখ্যা। প্রতিবছর এই ঈদসংখ্যা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় মন উদগ্রীব থাকতো। কোনো কোনো বছর ঈদের প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই সংগ্রহ করে নিতাম সম্পূর্ণ রঙিন প্রচ্ছদে ছাপা ঝকঝকে ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা গুলো। এরপর বড়জোর পাঁচ-ছয় দিনেই দম বন্ধ করে পড়ে ফেলতাম চুম্বক অংশগুলো।

তখনকার সময়ে স্মার্টফোন তো দূরের কথা মোবাইল ফোনে ক্যামেরাই ছিলনা। সুতরাং ছাপা কাগজপত্রের চাহিদা ছিল ব্যাপক। ঈদসংখ্যা ছাড়াও ঈদ কে কেন্দ্র করে পত্রিকার বিশেষ পাতাগুলো পড়ার নেশা ছিল মাদকের মতো। গ্রামের অদূরে বড় বাজারে প্রত্যেহ বিকেলে কয়েকঘন্টা পত্রিকা পড়ার নেশায় দুপুরের পরপরই চলে যেতাম বাই সাইকেলে চেপে। ঈদের সময়ে হাটবার গুলোয় উপচেপড়া ভীড় থাকতো। জমজমাট হইচইপূর্ণ পরিবেশেও মন লাগিয়ে পত্রিকার পাতায় ডুবে থাকতাম। ঠিক সন্ধ্যার আগে আগে চটজলদি কেনাকাটা করে বাড়ির পথে ফিরতাম। এভাবেই কেটে যেতো শৈশবে ঈদের পূর্বেকার সময় গুলো।

বাজারে পরম শ্রদ্ধেয় এক সাহিত্যানুরাগী ব্যবসায়ীর সাথে আমার তুমুল শখ্যতাও গড়ে ওঠেছিল এই পত্রিকা পড়াকে কেন্দ্র করেই। তাঁর সদুপদেশ জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে এখনো কাজে লাগে। তাঁর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ছিল আমার জীবনের এক অপ্রাতিষ্ঠানিক পাঠশালা।
এভাবে বই পড়ার নেশায় আরেকটি বিষয়ে আকৃষ্ট হয়েছিলাম ব্যাপকভাবে; আর তা হলো, পুরোনো বইয়ের দোকানে খুঁজে খুঁজে পুরোনো বই সংগ্রহ করে পড়া। সেসকল পুরোনো বইয়ের দোকানে অনেক ভালো ভালো বই পাওয়া যেতো। নাম মাত্র মূল্যে সেসব বই কিনে পড়ার মাঝে আলাদা একটা আনন্দ কাজ করতো। কারণ মফস্বল এলাকায় সবসময় সবধরনের বইয়ের নতুন কপি পাওয়া যেতো না।

এখন স্মার্টফোনের যুগ। সফটওয়্যারে লেখা পড়তে পড়তে ছাপার অক্ষর গুলো স্পর্শ করা তেমন একটা হয়ে ওঠেনা। তাছাড়া আগের মতো সাহিত্য সাময়িকী গুলোর ঈদসংখ্যাও আর সেভাবে বের হয়না। এখন স্মৃতি রোমন্থন করেই পুরোনো শখ-আহ্লাদ কে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে নিতে হয়।

লেখক:
প্রযোজনা সহকারী
বাংলাদেশ বেতার।
shobuzdxer57@gmail.com


More News Of This Category